আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। রোববার সকালে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে বাংলাদেশের স্থানীয় লোকজন গুলির আওয়াজে আতঙ্কে দিন-রাত পাড় করছে বলে জানা যায়। বিজিবির এক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে এর উচিত এবং কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত বিজিবি।
শনিবার বার্তাসংস্থা এএফপির জানিয়েছিল, রোহিঙ্গাদের ওপর মর্টার শেল ও গুলি ছুঁড়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।বিশেষ করে নারী ও শিশুসহ ভয়াবহ সহিংসতা থেকে বাঁচতে যারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে, তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
এদিকে গত শুক্রবার থেকে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯৮জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ৮৯জনই বিদ্রোহী। আর ১২জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।
অপরদিকে, সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রাখাইন থেকে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে মিয়ানমার সরকার। তবে সেখান থেকে কোনো মুসলমানকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি। বরং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, শুক্রবার রাখাইন পুলিশের ২৪টি তল্লাশি চৌকি ও সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটির চৌকির ওপর হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী রাখাইনে নতুন করে অভিযানে নামে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি চৌকিতে হামলা চালিয়ে বিদ্রোহীরা ৯ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল। এর জের ধরে রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে দমন অভিযানে নামে দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যা, ধর্ষণ বা নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ৮৭ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।