নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দিল পুলিশ। এমপিওভুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করা আইসিটি বিষয়ের শিক্ষকরা বিকল্প স্থান হিসেবে প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নেন।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ এমপিওবঞ্চিত আইসিটি শিক্ষক সংগঠন’ তাদের ধর্মঘট ও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বাস সাতক্ষীরার পলাশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আক্তারউজ্জামানকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত শিক্ষককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই গুজব রটে যায় আক্তারউজ্জামান মারা গেছেন। শিক্ষকরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা রাস্তায় শুয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ সড়কটি বন্ধ থাকে।এতে পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
দুপুর ১২টার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।তিনিও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। পরে শিক্ষকরা ফুটপাতে অবস্থান নেন। এসব বিষয়ে শাহাবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক গতকাল বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকরা দীর্ঘক্ষণ রাস্তা আটকে রাখায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই তাঁদের মূল সড়ক থেকে সরিয়ে দিই।’
শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আশিকুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আক্তারউজ্জামানের পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক।’ শিক্ষকরা জানান, ২০১২ সাল থেকে স্কুলগুলো আইসিটি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করলেও তাঁদের এমপিও দেওয়া হচ্ছে না। ২০১৫ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এমপিওবঞ্চিত এক হাজার ৩৫২ জন আইসিটি শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে।
তবে এর বাইরে মাদ্রাসার ৫০০ এবং কলেজ পর্যায়ের ১০০ শিক্ষক তালিকায় ঢুকতে পারেননি। তালিকা তৈরির পর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।