অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষাখাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। সামরিক খাতে আগামী এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার ২৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলে সেনা উপস্থিতি দীর্ঘায়িত করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, এতে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নতুন করে হুমকির মুখে পড়বে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হো চুনিয়াং বিবিসিকে বলেন, ‘এটা সত্যিই খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। আমরা অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এমন পরিকল্পনায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’
হো চুনিয়াং আরো বলেন, ‘তাদের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আমরা সবসময় এই অঞ্চলের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় কাজ করছি। তাই তাদেরও উচিত হবে এই অঞ্চলের শান্তি শৃংখলা রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মালকম টার্নবুল বলেছেন, সামরিকখাতে বর্ধিত এ বরাদ্দের বেশির ভাগই ব্যয় করা হবে সাবমেরিনের পেছনে। এছাড়া নৌজাহাজ, জঙ্গি বিমান ও সেনাদের পেছনেও ব্যয় বাড়ানো হবে।
তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ২০২১ সাল নাগাদ তাদের জাতীয় আয়ের ২ শতাংশ ব্যয় করবে সামরিক খাতে। মূলত ২০৩৫ সালের মধ্যে সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠার একটি পরিকল্পনা নিয়েই তারা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের ২০১৬ সালের প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র খসড়ায় জানিয়েছে, আগামী দশ বছরে দেশটি সামরিক খাতের ব্যয় বাড়িয়ে ২৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৭৮.১১ টাকায় ডলার হিসাবে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) করবে।