বিনোদন প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি।
রোববার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে … রাজিউন)।
গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের মিডিয়া মুখপাত্র ডা. সাগুফতা। গত ৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আগামীকাল সোমবার নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও দিতির পৈতৃক বাড়িতে তাকেসমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে। তবে পরিবারের সম্মতি পেলে আগামীকাল সকালে বিএফডিসিতে দিতির মরদেহ নেয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে।
মস্তিষ্কে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় গত বছরের ২৫ জুলাই থেকে ভারতের চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি (এমআইওটি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দিতি। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ফের গত বছরের নভেম্বরে একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার আর অগ্রগতি হওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে, গত ৮ জানুয়ারি চেন্নাই থেকে কন্যা লামিয়া ও পুত্র শাফায়াতসহ ঢাকায় পৌঁছান সংকটাপন্ন এ নায়িকা। এরপর থেকেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে শুরু করে ভক্তদের মনে।
দিতির মৃতদেহ আজ হাসপাতালেই রাখা হবে। আগামীকাল সকালে বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম জানাজা। কাল দুপুরে দিতির গ্রামের বাড়ী সোনারগাঁওয়ে নেয়া হবে মৃতদেহ। সেখানে জানাজা শেষে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জের মেয়ে দিতি ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’।
সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
জীবদ্দশায় প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন দিতি। পাশাপাশি অসংখ্য একক নাটক, টেলিছবি ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় ও রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছেন।