বাংলাদেশে ‘বৃক্ষ মানব’ নামে পরিচিত বিরল এক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন চিকিৎসকরা…
আক্রান্তব্যক্তিটির রক্ত এবং চামড়ার নমুনা আগামী সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে পাঠানো সম্ভব হবে বলে চিকিৎসকরা আশাবাদী।এর পাশাপাশি বাংলাদেশেও তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল চিকিৎসা শুরু হবে।চিকিৎসকরা বলেছেন, আবুল বাজানদার নামের ২৫ বছরের এই যুবক বিশ্বে তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি এ ধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।তিনি গত প্রায় এক দশক যাবত এই রোগে ভুগছেন। এর ফলে তার দুই হাত এবং পায়ের কিছু অংশ বিকৃত হয়ে অনেকটা গাছের শেকড়ের মতো রূপ নিয়েছে।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় দু’জন ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। যে দু’জন চিকিৎসক তাদের চিকিৎসা করেছেন তাদের একজন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এবং অন্যজন জাপানে আছেন।এই দু’জনের সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।আবুল বাজানদারের সুস্থতার বিষয়ে চিকিৎসকরা আশাবাদী। অন্যদিকে নিজের সুস্থতার ব্যাপারেও আত্নবিশ্বাসী আবুল বাজানদার।তিনি বলেন, “ হাসপাতালে আসার পর খুবই ভালো লাগছে। মনে এইটুকু শক্তি আসছে যে আমি স্বাভাবিকভাবে সুস্থ হতে পারবো। আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো”।
“আমার ছোট একটা মেয়ে আছে। তারে নিয়ে সুন্দর জীবন-যাপন করবো। এটাই আমার আশা।”
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আবুল বাজানদারকে দেখতে গিয়েছিলেন। মি: নাসিম বলেন, এই চিকিৎসাকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তার চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।চিকিৎসকরা বলছেন, রক্ত এবং চামড়ার নমুনা দেশের বাইরে পাঠনোর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। সেজন্য খানিকটা সময় লাগছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক অধ্যাপক আবুল কালাম জানিয়েছেন, নমুনাগুলো আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে জাপানেও পাঠানো হবে।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, এটি এক ধরনের স্কিন ডিজিজ বা চর্মরোগ। তবে মি: কালামের মতে, এটা কোন সংক্রামক রোগ নয়।