সাহিত্যিক, কবি, লেখক কোনটাই নয়; বরং পৌরসভার রেকর্ড বলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কলকাতা শহরের একজন জমিদার।
সোমবার ২২ শ্রাবণ ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস। এ দিন বিশ্বকবির এক অমূল্য রতন সামনে এসেছে। কলকাতা কর্পোরেশনের রেকর্ড রুম থেকে উদ্ধার হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু সম্পর্কিত একটি খাতা। রেকর্ড রুমের পুরনো দস্তাবেজ ঘাঁটতে ঘাঁটতে সেই খাতা স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
জি২৪ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সমগ্র বিশ্বে যিনি বরেণ্য, পরিচয় বিশ্বকবি। কিন্তু কলকাতা পৌরসভার সংগ্রহশালার ওই খাতায় রবীন্দ্রনাথ অন্য পরিচয়ে পরিচিত। তিনি ছিলেন কলকাতার জমিদার। কবিগুরুর মৃত্যুর দিন শহর কলকাতায় কত লোক সমাগম হয়েছিল, তৎকালীন সময়কার গেজেটে কবির মৃত্যুর পর বিশেষ এক সংখ্যায় এখনো সেই তথ্য সংরক্ষিত আছে।
জি২৪ এর খবর অনুসারে, তৎকালীন সময়ে ডেথ সার্টিফিকেটে ব্যক্তির ধর্ম, সামাজিক শ্রেণি এবং জীবিকা উল্লেখ করা থাকত। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো রয়েছে কবিগুরুর মৃত্যু পরবর্তী নথিও। বিশ্ববরেণ্য কবিকে সেখানে জমিদার বা ল্যান্ডওনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ডেথ সার্টিফিকেটে ডাক্তার হিসেবে সই করেছেন বিধানচন্দ্র রায়।
তৎকালীন সময়ে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির আগে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সংক্রান্ত তথ্য তোলা হতো শ্মশানে থাকা একটি নির্দিষ্ট খাতায়। শ্মশান থেকে ওই খাতা চলে আসত কলকাতা পৌরসভার মূল সদর দফতরে। এখনো সেখানেই সযতেœ রক্ষিত রয়েছে কবিগুরুর এই সম্পদ।