হাশমত বেপারীঃ বিশ্বের ১৯৪তম দেশ হিসেবে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সুযোগ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক আন্তর্জাতিক অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ফলে আগামী মাস থেকেই পেপ্যালের সেবা মিলতে পারে বাংলাদেশে। দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে পেপ্যালের সেবা চালুর দাবি ছিল।
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে উপমহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ চুক্তিতে সই করেন। প্রথমে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে খসড়া চুক্তিতে সই করে তা পাঠানো হয় পেপ্যালের সদর দপ্তরে। সেখান থেকে পেপ্যালের পক্ষে চুক্তিতে সই করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এর ফলে, চুক্তির আওতায় পেপ্যালের মাধ্যমে প্রবাসী আয়, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্সারদের আয় সহজে ও নিরাপদে দেশে আনা যাবে। চুক্তি সই করার আগে আন্তর্জাতিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দেশে পেপ্যাল নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালে এসে এটি বাস্তবায়নের জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করতে থাকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সে বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হচ্ছে বলে ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও পেপ্যাল বর্তমানে পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে কাজ করছে। পেপ্যাল ২৬টি মুদ্রায় গ্রাহকদের অর্থ পাঠাতে, গ্রহণ করতে ও অর্থ সংরক্ষণ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এই মুদ্রাগুলো হল অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ব্রাজিলের রিয়েল, কানাডার ডলার, চীনের ইউয়ান (শুধু কিছু চীনা একাউন্টে ব্যবহারযোগ্য), ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, জাপানি ইয়েন, চেক ক্রোনা, ডেনিশ ক্রোন, হং কং ডলার, হাঙ্গেরীর ফ্রইন্ট, ইসরাইলের নতুন শেকেল, মালেশিয়ার রিঙ্গিত, মেক্সিকোর পেসো, নিউ জিল্যান্ডের ডলার, নরওয়ের ক্রোন, ফিলিপাইনের পেসো, পোল্যান্ডের যোলটি, সিঙ্গাপুরের ডলার, সুইডেনের ক্রোনা, সুইস ফ্যাঙ্ক, নতুন তাইওয়ানের ডলার, থাই ভাত এবং যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ডলার। এছাড়া পেপ্যাল স্থানীয়ভাবে ২১টি দেশে কাজ করে। ১৯৯৩ সালে ইউরোপে কার্যক্রম শুরু করা এ আর্থিক সংস্থাটি।