কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। টাউন হল মাঠের এই সমাবেশ দুপুর ১২টায় শুরুর কথা রয়েছে।
তবে শনিবার সকাল থেকেই কুমিল্লা নগরীর প্রতিটি সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক লাখ নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
শনিবার সকালে কুমিল্লা টমসম ব্রিজ থেকে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার লম্বা এক মিছিল দেখা যায়। মিছিলে কুমিল্লার দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এদিকে কুমিল্লা বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। গণসমাবেশ ঘিরে নেই পরিবহণ ধর্মঘট। রাজনৈতিক উত্তেজনাও নেই তেমন। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো পথে পথে বাধা দেওয়ার তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাই কুমিল্লার সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্রোত শুরু হয়েছে।
বাধা না থাকলেও সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার আশপাশের জেলার নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। রাতে মাঠে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়।
তবে ধর্মঘট বা বড় ধরনের বাধা না থাকলেও সমাবেশ ঘিরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টিও আলোচনায় আছে। কুমিল্লার দুই প্রভাবশালী নেতা আমিনুর রশীদ ইয়াসিন এবং মনিরুল হক সাক্কুর কোন্দল সমাবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কি-না তা নিয়ে কিঞ্চিত সংশয় রয়েছে।
অন্য সমাবেশের মতো ধর্মঘট ডাকা হতে পারে এমন শঙ্কা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটের ঘোষণা না আসায় সাধারণ জনগণ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। গণসমাবেশ ঘিরে মহানগরে তেমন রাজনৈতিক উত্তেজনাও নেই। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জেলা বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনারা মিটিং করেন অসুবিধা নেই, ফাঁকা মাঠ দিয়ে দিলাম। কিন্তু ভুলেও শান্তির কুমিল্লায় অশান্তি করার চেষ্টা করবেন না।’
প্রিয়আলো/আইকে