1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বেশি নির্মাণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর - প্রিয় আলো

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বেশি নির্মাণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১৮
  • ৩২৮
26

প্রিয়আলো ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযোজকদের আরো বেশি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে যত বেশি সম্ভব চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং সংগ্রাম, সে চিত্রগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। কারণ, আমাদের স্বাধীনতা দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের ফসল।’

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলচ্চিত্র শিল্পের কলা-কুশলীদের মাঝে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব সময় একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘কোনোদিক থেকেই আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। কাজেই শিল্পের দিক থেকে, এমনকি চলচ্চিত্র শিল্পে আমরা বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই ।’

‘এর জন্য যা করা দরকার আমরা তা করব। কারণ, এ দেশের এফডিসি এবং চলচ্চিত্র শিল্পের জন্ম আমার বাবার হাত ধরেই,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চিত্রনায়ক ফারুক (আকবর হোসেন পাঠান) এবং চলচ্চিত্র নায়িকা ববিতা (ফরিদা আখতার) অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।

অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরী আয়নাবাজি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং নুসরাত ইমরোজ তিশা ‘অস্বিত্ব’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং কুসুম সিকদার ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রের জন্য যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।

আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, ‘মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র যেন নির্মাণ হয়, যা আমদের সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা সব সময় চাইতেন, আমাদের চলচ্চিত্রগুলো যেন দেশের ঐহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে জনগণকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা লাভকারী চিত্রনায়ক ফারুক এবং চিত্রনায়িকা ববিতা নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ এবং তথ্য সচিব মো. আব্দুল মালেক।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, শিল্পী, কবি, সহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এবং চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বস্তরের কলা-কুশলীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে এ প্রজন্মের চিত্রনায়ক ফেরদৌস এবং চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্যসূত্র : বাসস

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x