1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
ফেঁসে যা‌চ্ছেন বিমানের সা‌বেক এম‌ডিসহ ৪ কর্মকর্তা - প্রিয় আলো

ফেঁসে যা‌চ্ছেন বিমানের সা‌বেক এম‌ডিসহ ৪ কর্মকর্তা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ৫৫৬
Biman

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পে‌য়ে‌ছে দুর্নীতি দমন ক‌মিশন (দুদক)। তা‌দের দায়ী ক‌রে মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্ত শে‌ষে তা‌দের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট জমা দেন।

বুধবার (২০ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল মুনীম মোসাদ্দিক আহমেদ, পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের (বিএটিসি) অধ্যক্ষ পার্থ কুমার পণ্ডিত এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক (নিয়োগ) ফখরুল হোসেন চৌধুরী।

২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনিই তদন্তের দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলার অভিযো‌গে বলা হয়, আসামিরা ২০১৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের সময় প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স নির্ধারণে বিমানের প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ করেননি। নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং পরে ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল মুনীম মোসাদ্দিক আহমেদের ভাতিজাসহ ৩০ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে নিজেরা লাভবান হন। এ ছাড়া ওই প্রার্থীদের অবৈধ সুবিধা দেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মানবণ্টন ম্যানুয়াল অনুযায়ী না করে মৌখিক পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর রেখে বিশেষ প্রার্থীদের অবৈধ সুবিধা দেওয়া এবং লিখিত পরীক্ষায় গ্রেস দেওয়ার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করে অবৈধভাবে বিমানের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদক জানায়, ক্যাডেট পাইলট নিয়োগে ভাইবা পরীক্ষায় সব পরিচালকসহ কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ১০ জন। গত জানুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২ জনকে মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। অথচ লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া অনেককেই মৌখিক পরীক্ষায় পাস করানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে আবার ১০০ নম্বরের ভাইবা নেওয়ার কোনও নজির বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালায় নেই। এ ছাড়া পাইলট নিয়োগের বয়স যুক্তিহীনভাবে ৪০ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে নীতিহীন কাজ হয়েছে, যা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। অর্থাৎ, ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে ৩২ জনকে নিয়োগ দেওয়া নিয়মবহির্ভূত ছিল।

আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক এমডি মোসাদ্দিক আহমেদ, সাবেক এমডি ও পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ফারহাত হোসেন জামিল, ব্যবস্থাপক (নিয়োগ) ফখরুল হোসেন চৌধুরী ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার (বিএটিসি) অধ্যক্ষ পার্থ কুমার পণ্ডিতসহ বিমানের বর্তমান ও সাবেক সাত পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x