২০২২-‘২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পর থেকে অর্থপাচার নিয়ে যখন সমালোচনা চলছে তখন বেরিয়ে এলো দেশের আলোচিত আর্থিক কেলেঙ্কারির নায়ক প্রশান্ত কুমার হালদারের আরও একটি কাণ্ড।
এবার বন্ধুদের ফাঁসিয়ে আরও ৩০০ কোটি টাকা লোপাটের নতুন তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রিলায়েন্স ফিন্যান্স থেকে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে কৌশলে বন্ধুদের থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। কোন প্রকার আবেদন ছাড়াই বিপুল অঙ্কের এই টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয় কাগজপত্র।
এই জালিয়াতির কাজে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ন্যাম করপোরেশনের মালিক আব্দুল আলীম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে ব্যবহার করেন পিকে হালদার। এ ঘটনায় শিগগিরই আরেকটি মামলা করতে যাচ্ছে দুদক।
এদিকে দীর্ঘ তদন্তের পর পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। চলতি বছরের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক। সেই মামলায় ২৭৫ কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও উল্লেখ করা হয়। এরপর আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এখন পর্যন্ত পিকে হালদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে একটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।