আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এফইআরবি আয়োজিত বাজেট সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন যেমন বাড়ছে, চাহিদাও তেমন বাড়ছে। নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে না চাইলেও এ খাতে অতিরিক্ত করভার কমাতে এনবিআরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাজেটে তার প্রতিফলন পাওয়ার আশা করছে মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার আপাতত গণহারে ভর্তুকি না দিয়ে, যেসব খাতে ভর্তুকি দরকার, সেখানে ভর্তুকি দেবে।
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় এ মুহূর্তে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানো যাচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। তবে, অর্থ সঙ্কটের কারণে নতুন গ্যাস ক্ষেত্রে খনন করা যাচ্ছে না।
এর আগে এনবিআর সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হতে পারে। বর্তমানে এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন বাজেট দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেদিন এ ঘোষণা এলে নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হয়ে যাবে। বর্তমানে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ অগ্রিম আয়কর, আগাম ভ্যাট রয়েছে। আগাম কর কমালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আমদানি খরচ কিছুটা কমবে।