খাবার স্যালাইনের আবিষ্কারক ডা. রফিকুল ইসলামের চিরবিদায়
আপডেট সময়
বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮
৩০৩
ছবিঃ খাবার স্যালাইনের অন্যতম আবিষ্কারক ডা. রফিকুল ইসলাম।
ঈদ্রিসুর রহমানঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সন্তান তথা বাংলাদেশের গর্ব এবং খাবার স্যালাইনের অন্যতম আবিষ্কারক ডা. রফিকুল ইসলাম গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। ফেব্রুয়ারিতে ডা. রফিকুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
খ্যাতিমান চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। এছাড়া ব্রিটেনে ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও হাইজিন বিষয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা বিদ্যায় অধ্যয়ন শেষে ডা. রফিকুল ইসলাম আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত ছিলেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিশেষ করে খাবার স্যালাইন-ওআরএস আবিষ্কারের মাধ্যমে ডায়রিয়ার হাত থেকে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচান। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট খাবার স্যালাইনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আখ্যা দিয়েছে।
আর এর আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রিত বাংলাদেশিদের শরণার্থী শিবিরগুলোতে একবার কলেরা ছড়িয়ে পড়ে। তখন এর একমাত্র চিকিৎসা ছিল শিরায় দেয়া স্যালাইন (ইন্ট্রাভেনাস)। কিন্তু স্যালাইন সরবরাহ কম থাকায় শরণার্থীদের প্রাণ বাঁচাতে খাবার স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাবার স্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকার ডায়রিয়ার চিকিৎসায় খাবার স্যালাইন ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে। এ কারণে এটি ‘ঢাকা স্যালাইন’ নামেও পরি