তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ট্রাভিস হেডের ঝড়ো ৫৯ রানের ওপর ভর করে ১৭৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় অজিরা। লক্ষ্য তাড়ায় শন অ্যাবট, জস হ্যাজেলউড এবং অ্যাডাম জাম্পার দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ৪ বল বাকি থাকতেই ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। ফলে ১-০ ব্যবধান এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাউদাম্পটনে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ফিল সল্ট।
আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল স্রেফ দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লে’তে-ই সফরকারীরা তুলে নেয় ৮৬ রান। যার কৃতিত্ব ট্রেভিস হেডের। মাত্র ২৩ বলে ৫৯ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। ৮ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান চোখের পলকে। পঞ্চম ওভারে স্যাম কারান বোলিংয়ে এলে তাকে এলোমেলো করে দেন হেড। ওভারে ৩টি করে চার ও ছক্কা মেরে ৩০ রান তোলেন এই ড্যাশিং ওপেনার।
ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফিরতে হেডকে থামানোর প্রয়োজন ছিল। পেসার মাহমুদ সেই কাজটা করেন। ডানহাতি পেসারের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে হেড মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। সপ্তম ওভারে ফিরে যান অধিনায়ক মিচেল মার্শ। তিন বলে দুই রান করে মার্শ বোল্ড হন আদিল রশিদের বলে। শর্ট অবশ্য ১১ ওভার পর্যন্ত ছিলেন। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ফিরে যাওয়ায় আগে ২৬ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪১ রান করেন। ১৩তম ওভারে আরও দুই উইকেট নেন লিভিংস্টোন।
মার্কাস স্টয়নিস (১০) এবং টিম ডেভিডকে (০) লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এ দিন অস্ট্রেলিয়া একাদশের পাঁচ ক্রিকেটার বোল্ড আউট হন। মার্শ ছাড়াও বোল্ড হন জস ইংলিশ, ক্যামেরন গ্রিন, শন অ্যাবট এবং হ্যাভিয়ের বার্টলেট। এদের মধ্যে ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন ইংলিশ। শেষদিকে ১৬ বলে ১৩ রান করেন গ্রিন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন লিভিংস্টোন। দু’টি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার ও সাকিব মাহমুদ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। দলীয় ১৩ রানেই ভাঙে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৭ রানের জুটির পর ১২ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। তবে স্যাম কারানকে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন লিভিংস্টন। ৫৪ রানের জুটিও গড়েছিলেন তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড।
দলের পক্ষে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন লিভিংস্টন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে ফিল সল্টের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন শেন অ্যাবট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ১৯.৩ ওভারে ১৭৯ (শর্ট ৪১, হেড ৫৯, ইংলিশ ৩৭; আর্চার ৩.৩-০-৩১-২, সাকিব ৩-০-২১-২, রাশিদ ৪-০-২৩-১, লিভিংস্টোন ৩-০-২২-৩)।
ইংল্যান্ড: ১৯.২ ওভারে ১৫১ (সল্ট ২০, কক্স ১৭, লিভিংস্টোন ৩৭; হেইজেলউড ৪-০-৩২-২, অ্যাবট ৩.২-০-২৮-৩, জ্যাম্পা ৪-০-২০-২)।
ফল: অস্টেলিয়া ২৮ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ট্রাভিস হেড।