চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (৭৫) মারা গেছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ও ৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনের পর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
চাঁদপুরের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. হাসমত উল্ল্যাহ এবং মায়ের নাম হাজেরা বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কর্মজীবন তিনি লেখাপড়া শেষ করে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। এছাড়াও তিনি দেশের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবন শেষ করে তিনি ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার একমাত্র অনার্স কলেজ। যা ফরিদগঞ্জের একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। এছাড়া তিনি কাওনিয়া শহীদ হাবিব উল্যা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।