বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের প্রথম দিনে বৃষ্টির ফাঁকে খেলা হয়েছিল মাত্র ৩৫ ওভার। কানপুরের আবহাওয়া দ্বিতীয় দিনেও উন্নতি হয়নি। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলাও শুরু করা যায়নি। বৃষ্টি ক্রমেই বেড়েছে। যে কারণে ভারতীয় দল গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম থেকে টিম হোটেলে ফিরে গেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিম হোটেলে ফিরে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তরাও।
বৃষ্টির মধ্যেই সরাসরি ধারাভাষ্যে এসেছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কথাও বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। মন্তব্য করেন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটারদের নিয়ে।
সাবেক এ ওপেনার টেস্ট ক্রিকেটের জন্য মুশফিকের নিবেদন ও পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, আপনি আমার কথা বলতে পারেন, সাকিবের কথাও বলতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি (টেস্টে) কাউকে আদর্শ মানতে চান, আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, সেটা হওয়া উচিত মুশফিককে।
সম্প্রতি কানপুর টেস্টের আগে টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের দিনক্ষণ ঠিক করে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে ইতোমধ্যে তিনি তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচই এ সংস্করণে তার শেষ ম্যাচ ছিল।
সাদা পোশাকেও ইতি টানছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে ঢাকায় ফিরবেন তিনি। ফিরে আগামী মাসে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলে টেস্ট থেকে অবসরে যাবেন সাকিব। অন্যথায় এই ম্যাচই হতে পারে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের টেস্ট ক্যারিয়ারে অনেক কীর্তি নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন সাকিব। ৭১ টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬০০ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৪২ উইকেট। বর্তমানে টেস্টে আইসিসির অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়েও আছেন দুই নম্বরে। এর আগে শীর্ষস্থানেও ছিলেন দীর্ঘদিন।
এমন ক্যারিয়ারের সাকিবের চেয়েও মুশফিককে টেস্টে এগিয়ে রেখেছেন তামিম। এগিয়ে রেখেছেন নিজের চেয়েও।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯২টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। রানের দিক থেকেও সবার চেয়ে এগিয়ে ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। লাল বলের ক্রিকেটে ৩৮.৬৮ গড়ে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯১৯ রান করেছেন মুশফিক। অন্যদিকে এ তালিকার দুইয়ে থাকা তামিম ৭০ টেস্টে ৩৮.৮৯ গড়ে ৫১৩৪ রান করেছেন।