জুয়াড়ির থেকে পাওয়া ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেলেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার প্রবিন জয়াবিক্রমা। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অন্য এক খেলোয়াড়কে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ফিক্সিং-বিষয়ক কথোপকথন মুছে ফেলার অভিযোগও ছিল। এসব কারণে তাকে এক বছর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল- আইসিসি। ২০১৯ সালে একই কাণ্ডে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জায়াবিক্রমাকে এই শাস্তি দেয় আইসিসি। দিনটি ছিল জায়াবিক্রমার ২৬তম জন্মদিন। এর দুই দিন পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে শাস্তির বিষয়টি জানায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ
সংস্থা। শাস্তি এক বছরের হলেও, এর শেষ ৬ মাস থাকছে স্থগিত। প্রথম ৬ মাসে নতুন করে আইসিসির নীতিমালা বিরোধী কিছু না করলে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
গত আগস্টে জায়াবিক্রমার বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। এর জবাবে নিজের অবস্থান জানানোর জন্য ১৪ দিন সময় পান তিনি। প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করলেও পরে দায় স্বীকার করে নেন বাঁহাতি স্পিনার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- ২০২১ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) জুয়ারির পক্ষ হয়ে অন্য এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ে রাজি করানোর প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসিকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া এবং প্রস্তাব আসার ক্ষুদে বার্তাগুলো মুছে ফেলে তদন্তে বাধা দেওয়া।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তরুণ স্পিনার জায়াবিক্রমাকে তার বন্ধু প্রস্তাব দেন যে, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর ছোট ছোট কিছু কাজ যেমন একটি ‘নো’ বল করলেও অনেক আয় করা সম্ভব। এই প্রস্তাবেও রাজি হননি জায়াবিক্রমা। তবে আবারও এন্টি করাপশন ইউনিটকে জানাতে ব্যর্থ হন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাল্লেকেলে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জয়াবিক্রমার। ২০২২ সালে মিরপুরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন। একই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।