দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে একে-অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে, অন্যথায় একটি সুন্দর সমাজ গঠন করা যাবে না।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় প্যানেল আইনজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে একে-অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে, অন্যথায় একটি সুন্দর সমাজ গঠন করা যাবে না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মানবাধিকার রয়েছে। তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশেরও মানবাধিকার রয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করলে যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তেমনি পুলিশের ওপরও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করলে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়।
তিনি বলেন, মানব অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনজীবীদের। লিগ্যাল এইডের মতো মানবাধিকার প্যানেল আইনজীবীদের কাজ করতে হবে। মামলার এজাহারে আসামির নাম বিকৃতি করে উপস্থাপন করাও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আসামিদের পায়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরানো প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর আসামিদের আদালতের অনুমতি নিয়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরানোর কথা আমরা একটা রায়ে বলে দিয়েছি। কারণ, ডাণ্ডা বেড়ি পরানো না থাকার কারণে কিছুদিন আগে ঢাকার আদালত থেকে আসামিরা পালিয়েছে। সব মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় প্যানেল আইনজীবীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সারা দেশ থেকে আসা ২৫০ জন প্যানেল আইনজীবী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।