জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আশা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি শেষে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা মারামারি হয়। তখন মেহেদী হাসানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, মেহেদী এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। তার বাসা ভাটারা থানাধীন এলাকায়।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি র্যালিতে অংশ নেন মেহেদী। রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত এ র্যালি করা হয়। র্যালি শেষে হেঁটে মানিক মিয়া এভিনিউ পার হচ্ছিলেন মেহেদীসহ অনেকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পিকআপ ভ্যানে চড়ে র্যালিতে যোগ দেওয়া আরেক দল নেতাকর্মীর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এর মধ্যে কেউ একজন মেহেদির বুকে ছুরিকাঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।