বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার মহান হৃদয় ও মমতার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটের যাত্রীরা বিস্মিত ও আনন্দিত হয়ে ওঠেন, যখন তারা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তাদের সঙ্গে দেখা করছেন। তিনি একের পর এক তাদের আসনে আসছেন ও বিমানের আরোহীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।
শুক্রবার (১৬ জুন) শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইটে তাদের আসনের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে অনেকেই বিস্মিত ও অবাক হয়েছেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে তিনি অনেক যাত্রীর অনুরোধ মেনে নেন। তিনি বাচ্চাদের সঙ্গেও খুব স্নেহের সাথে কথা বলেন ও তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ মজার গল্প করেন এবং কয়েকটি শিশুকে কোলে তুলে নেন।
এসময় কয়েকজন যাত্রী গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের অপ্রত্যাশিত উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’- এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শুক্রবার (১৬ জুন) রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।