ভারি বৃষ্টিতে খেলা শুরু হয় দেরিতে। প্রতিকূল এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে অবশ্য বেগ পোহাতে হয়েছে তাদের। মাঠে পানি থাকায় বল ঠিকমতো পাস করা যাচ্ছিল না। জলাবদ্ধ মাঠে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে স্কালোনির শিষ্যদের। ম্যাচের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
কখনও বিশ্বকাপে না খেলা ও শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোয় এমনিতে হতাশ থাকার কথা আর্জেন্টিনার। তবে সেই ফুটবলীয় আলোচনার উপায়ই ছিল না এ দিন। ফুটবল খেলাটাই যে হলো না! বরং জলাবদ্ধ মাঠে বল নিয়ে ছুটোছুটির চেষ্টা দেখা গেল কেবল। বৃষ্টিভেজা পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলার মতো যেন।
মেসির ভাষায়, ‘কুৎসিত’ খেলা হয়েছে। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে মেসি বলেন, খুব কঠিন ছিল (খেলা)। এতে ম্যাচগুলো খুব কুৎসিত হয়ে যায়। আমরা টানা দু’টি পাসও খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ডান প্রান্তে কিছুটা খেলতে পেরেছি। কিন্তু এভাবে খেলা খুব কঠিন। খুব অল্পই খেলা সম্ভব হয়েছে।
পয়েন্ট টেবিলে আর্জেন্টিনা শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও যেভাবে পরিকল্পনা হয়েছিল, ম্যাচে সেটার বাস্তবায়ন তারা করতে পারেনি। তাই ম্যাচের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি। তিনি বলেন, আমরা ড্র করেছি। কারণ যেভাবে খেলতে চেয়েছি, মাঠ সেভাবে খেলতে দেয়নি। পেছনে খুব বেশি পাস নেওয়ার ঝুঁকি নেইনি। প্রথমার্ধে পেছনে কিছু পাস দেয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পানি সেসব আটকে দিয়েছে এবং জটিল করেছে। পানির মধ্যে যেভাবে খেলা দরকার, আমরা সেভাবেই খেলেছি।
সুরে গলা মেলান মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলও। ম্যাচ শেষে ডি পল বলেন, আমাদের জন্য খেলার উপযুক্ত অবস্থা হলো ভালো একটি মাঠ, ভালো আবহাওয়া, বল ছুটবে প্রত্যাশামতো। খুব বেশি কিছু তো আমরা চাই না, তাই না? আজকে এখানে ফুটবল খেলার অবস্থা ছিল না।
এদিকে ভেজা মাঠ নয়, বরং রেফারিকে দুষছেন আর্জেন্টাইন কোচ। ঝুম বৃষ্টির পরেও কেন ম্যাচ বন্ধ করা হয়নি প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। স্কালোনি বলেন, ফুটবল ম্যাচ খেলার নূন্যতম শর্তও মানা হয়নি। এভাবে আপনি খেলতে পারেন না। আমাদের যা করার কথা ছিল তাই করেছি। কিন্তু দুই দলের ম্যাচ খেলার মতো কন্ডিশন ছিল না। রেফারি প্রুতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বল না গড়ালে ম্যাচ বন্ধ করে দেবেন। বল গড়ায়নি এটা স্পষ্ট দেখা গেছে।
টানা দুই ড্রয়ের পর ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। এ দিনই বলিভিয়ার কাছে হেরে যাওয়া কলম্বিয়া দুইয়ে আছে ৯ ম্যাচ ১৬ পয়েন্ট নিয়ে। ৮ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া উরুগুয়ের সুযোগ আছে তাদেরকে টপকে যাওয়ার। চিলিকে এ দিন শেষ সময়ের গোলে হারিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে ব্রাজিল।