সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ব্রাইটনের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক হারের মুখ দেখলো চেলসি। এফএ কাপের ম্যাচে হারের সেই তিক্ত স্বাদ এখনও ভোলেনি চেলসি ভক্তরা। এবার প্রিমিয়ার লিগেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলো চেলসি। ৩-০ গোলে দ্য ব্লুজকে হারিয়েছে পূর্ব সাসেক্সের ক্লাবটি।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমেক্স স্টেডিয়ামে চেলসিকে আতিথ্য দেয় ব্রাইটন। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল আদায় করে নেন মিন্তে। অপর গোলটি করেন মিতোমা।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে লিড নেয় ব্রাইটন। স্বাগতিক দর্শকদের উৎসব করার প্রথম উপলক্ষ্য এনে দেন দলের জাপানিজ লেফট উইঙ্গার কাওরু মিতোমা।
পিছিয়ে পড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্রাইটনের জালে বল জড়িয়েছিলো চেলসি। কিন্তু প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করায় এনজো ফার্নান্দেসের সেই গোল বাতিল হয়।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ব্রাইটন। এবার রাইট উইঙ্গার ইয়ানকুবা মিন্তে নাম তোলেন স্কোর শিটে। ২-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাইটন।
বিরতির পর আক্রমণ চালিয়েও ফল পায়নি চেলসি। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় ব্লুজ ফরোয়ার্ডরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ১৮তম মিনিটে চেলসির জালে তৃতীয়বারের মতো বল জড়ায় ডি জেরবি শিষ্যরা। ড্যানি ওয়েলব্যামের সাথে ডি বক্সের ভেতরে দারুন ওয়ানটেু ওয়ান পাসের বোঝাপড়ায় নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন ইয়ানকুবা মিন্তে।
ম্যাচের বাকি সময়েও গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় আর গোল পায়নি ব্রাইটন। তবে পুরো ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল পজেশন নিয়েও প্রতিপক্ষের জালে একবারও টার্গেট শট নিতে পারেনি চেলসি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চেলসি কোচ এনজো মরেস্কা। তিনি বলেন, আমরা ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রথম গোল খাবার পর সব এলোমেলো হয়ে যায়। তবে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো আমরা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ রাখলেও সুযোগ তৈরি করতে পারছি না। গত দুই সপ্তাহ আগেও এই সমস্যা ছিলো না। দ্রুতই এই সমাধান বের করতে হবে।
উল্লেখ্য, কোচ করেস্কার অধীনে সবচেয়ে বড় হারের লজ্জা পায় লন্ডনের ক্লাবটি। তবে প্রতিপক্ষে ডেরায় অন টার্গেটে শট নিতে না পারার এমন বাজে কীর্তি এর আগে সবশেষে ২০২১ সালে করেছিলো চেলসি। সেবার প্রতিপক্ষ ছিলো ম্যানচেস্টার সিটি।