২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ক্ষমতাঘনিষ্ঠদের দুর্নীতি ও লুটপাটকে আরও উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের। শুক্রবার (৭ জুন) এনডিপির এক বিশেষ সভায় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করার জন্য রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে এনডিপি সভাপতির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেএম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় এনডিপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে এনডিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আবু তাহের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমলের উদ্ভ্রান্ত বাজেট শুধু দেশের অর্থনীতি ধ্বংস নয়, দুর্নীতি ও লুটপাটকে উৎসাহিত করার জন্য। কারণ, এই বাজেটে প্রকৃত আয়ের সঙ্গে যেমন ব্যয়ের সঙ্গতি নেই, তেমনি চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় কোনো দিক-নির্দেশনাও নেই। তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট একটা বাস্তবতাবিবর্জিত, মিথ্যা তথ্যে ভরপুর বাজেট। বিগত সাড়ে ১৫ বছর যাবৎ গণতন্ত্রহীন আওয়ামী দুঃশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার দেশকে এমন এক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দুরবস্থায় পর্যবসিত করেছে যে, দেশ আজ এক কালো গহবরের মুখে।
এনডিপির এই চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪-’২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ছে। আয়করের সর্বোচ্চ হার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে। আবার সরকারের অবৈধ ক্ষমতার সিপাহসালারদের অবৈধ অর্থ বৈধ করতে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এটা অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য- যা সজ্জন করদাতা ও সৎ মানুষদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে নিরুৎসাহিত করবে।
এনডিপির মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল) বলেন, কয়েক লাখ কোটি টাকার ঋণ মাথায় নিয়ে এই ডামি সরকার আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট প্রস্তাব করেছে, যা বিলাসিতা। কারণ, আমাদের ঋণ শুধু বাড়ছে- যা একসময় দেশকে দেউলিয়া করে ফেলতে পারে, অথচ ঋণ পরিশোধ বা ঋণ কমানোর কোনো দিকনির্দেশনা এই বাজেট প্রস্তাবনায় নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজেট প্রস্তাবনার পূর্বে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল নতুন বাজেট অগ্নিমূল্যের বাজার থেকে স্বস্তি দেবে। আর মধ্যবিত্তের আশা ছিল টিসিবির ট্রাকের পেছনে মুখ লুকিয়ে আর দাঁড়াতে হবে না। বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা ছিল ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া প্রায় সকল মানুষ আজ নিরাশ। তাই এককথায় বলা যায়, এই বাজেট প্রস্তাবনা উদ্ভ্রান্ত সরকারের মানুষকে বিভ্রান্তকরণের বাজেট।