কোনোভাবেই মানব পাচার থামছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। যে কারণে এই পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি বলেন, সবাই সব কিছু জানে তবু কোনোভাবেই থামছে না ভয়ংকর মানবপাচার। সীমান্তবর্তী চার জেলার ১০টি পয়েন্ট দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পাচারের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হওয়ায় নারী-শিশু পাচারের জন্য এসব পয়েন্ট বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, সীমান্ত এলাকায় অভিযান নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে সভায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি পাচারকারীদের সাথে জড়িত। ২০০৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাচারের ঘটনায় দেশ ও দেশের বাইরে ছয় হাজার ৭৩৫টি মামলা হয়। মামলাগুলোর ভুক্তভোগীর সংখ্যা ছিলো ১২ হাজার ৩২৪ জন। গত ১২ বছরে ভারতে পাচার হওয়া দুই হাজার ৫০ জনকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আইনে আছে সীমান্তের আট কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবি চাইলে অপারেশন করতে পারে, পাচারকারীদের ধরতে পারে। পুলিশ তো যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু যখন পুলিশ ধরতে যায়, সীমান্তে আট কিলোমিটারের মধ্যে তখন আবার বিজিবি পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ এবং বিজিবির মধ্যে কোনো সমন্বয় নাই। পাচার এখনো চলছে। রুটগুলো চিহ্নিত করা। নারী-শিশু পাচারের মতো জঘন্য ঘটনা হরহামেশা দেখছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, বিষয়টি খুব গুরুতর অপরাধের বিষয়। এ বিষয়ে সরকার সচেতন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে নিরীহ মানুষ যাবে কোথায়?’