উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নয়টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আভাস রয়েছে। আর চারটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
শুক্রবার (২৪ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, গঙ্গা-পদ্মা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী- রোববার নাগাদ ঘণ্টায় তিস্তা বেসিন ব্যতীত দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানের বিভিন্ন অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কম।
এই অবস্থায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ধরলা, দুধকুমার এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর (তিতাস ব্যতীত) পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে, অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী সোমবার নাগাদ ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে (জলপাইগুড়ি, সিকিম) মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে উক্ত সময়ে তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে, অপরদিকে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
অন্যদিকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। আর রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে- বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে শুক্রবার পানির সমতল বেড়েছে ৩৭টিতে, কমেছে ৭১টিতে, অপরিবর্তিত আছে একটি পয়েন্টের পানির সমতল। আর বিপৎসীমার ওপরে আছে ১৭টি পয়েন্টের পানির সমতল।