সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। এছাড়া ভোটার উপস্থিতিও বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২১ জুন) সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুই সিটির ভোটগ্রহণ চলছে। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।নির্বাচন কমিশনাররা ভোটের পরিস্থিতি নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরায় সকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, কোনো অনিয়ম আমরা এখনো পাইনি। মাঠেও যোগাযোগ হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করছে কোনো অনিয়মের তথ্য নাই।
ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দু’একটা কেন্দ্রে বৃষ্টির কারণে উপস্থিতি কম। আর মোটামুটি সব জায়গায় ভোটার উপস্থিতি ভালো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমে কোনো জটিলতা আসেনি। রাজশাহীতে একটা জায়গায় সমস্যা হয়েছিল, সেটা সারানো হয়েছে। আমাদের কারিগরি টিম রয়েছে। তারা কোনো সমস্যা হলে তার দূর করবে।
সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
এই সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন-জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ, ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯জন মহিলা এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন-জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান (লিটন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।