1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
শিরোনাম

তারা কি জানে একাত্তরে কী ঘটেছিলো, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ১২৩
Pm New 2407150737

নিজেদের ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দেয়া কোটা আন্দোলনকারীরা একাত্তরের গণহত্যা, মা-বোনের ওপর পাশবিক নির্যাতন এবং এদের সহায়তাকারী রাজাকারদের ভূমিকা সম্পর্কে জানে কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাদের স্লোগানে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না।’

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধোর চেতনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে। লাখো মা-বোন নির্যাতিত। তাদের এই অবদান ভুললে চলবে না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী যেভাবে এদেশের অত্যাচার করেছে, আমার খুব দুঃখ লাগে যখন রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার।’

‘তারা কি জানে একাত্তর সালের পচিশে মার্চ কি ঘটেছিল সেখানে? তিন’শ মেয়েকে হত্যা করেছিল, ৪০ জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওরনা নিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল বলে তাদের সেগুলো পড়তে দেয়া হতো না। ওই এক কাপড়ে বসিয়ে রাখতো। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা হতো।’

এমন একজন মেয়েকে উদ্ধারের এক ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মিত্র শক্তি ভারতীয় একজন শিখ সৈন্য তার মাথায় পাগড়ি খুলে ওই উদ্ধারকৃত মেয়েকে তার গায়ে পেঁচিয়ে নিয়ে আসে। এটি একটি ঘটনা মাত্র। এমন বহু ঘটনা আছে।’

‘পিরোজপুরের যে মেয়েটাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাকে দিয়ে রান্না করাতো এবং পাশবিক অত্যাচার করতো। কিন্তু এক ফাঁকে সে ওদের খবর নিয়ে নদী পার হয়ে চিতমারীতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খবর দিয়ে আসতো। ধরা পরার পর তাকে দুটো গাড়িতে বেঁধে তার পা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব অত্যাচার রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না। যে বাহিনীগুলো তারা তৈরি করেছিল সেই বাহিনী দিয়ে তাদেরকে লুটপাট করতো মানুষের ওপর অত্যাচার করতো। তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিচার করে অনেককে ফাঁসিও দিয়েছি। তাদের দ্বারা যারা নির্যাতিত তারা বিচার পেয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক এখন যখন শুনি মেয়েরাও স্লোগান দেয়! তখন মনে হয় আমরা কোন দেশে আছি! আর এরা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে? কি শিক্ষা এদের দিলো? কি তারা শিখলো? এটাই আমাদের প্রশ্ন।’

মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের। জাতির পিতার একটি ডাকে এ দেশের মানুষ ঘরবাড়ি পরিবার-পরিজন ছেড়ে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করতে চলে গেছে। বিজয় এনে দিয়েছে। যারা রাজাকার বাহিনীতে ছিল তারা এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। সেটা তো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই এদেশ এগিয়ে যাবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এ দেশকে কি দিয়েছে? কিছুই দিতে পারেনি। কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, যখনই ক্ষমতায় এসেছি কাজ করেছি। গত ১৫ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com