ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারকে নিয়ে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির এ নির্দেশ দেন।
তথ্যমন্ত্রীর ড. হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত এ নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে এ ভিডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা নালিশি মামলায় কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব, নাগরিক টিভি নামে একটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল, এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খন্দকার ইসলাম এবং মোহাম্মদ হাজি হারুন রশিদকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে অভিযোগ করা করা হয়, ড. হাছান মাহমুদ এমপিকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে, হেয়প্রতিপনœ, মানহানী ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার কু-মানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন পুর্বক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমুলক, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি কোনো টিভি চ্যানেল নয়, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ মাত্র। তাদের উলিêখিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত নাগরিক টিভির কর্তৃপক্ষ আসামি কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী নাগরিক টিভির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুন চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানায় একই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায়ও কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিবসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়।