জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খামারি পরিষদ আয়োজিত খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ অধিদপ্তর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সহযোগিতা করবে। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে সব দপ্তরের সহযোগিতা শহীদ ও আহতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং সবশেষে সরকার পতনের আন্দোলনে সারা দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুলিতে আট শতাধিক ছাত্র-জনতা শহীদ হন। আহত হন ২০ হাজারের বেশি আন্দোলনকারী। তাদের সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে জুলাই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
খামারি সমাবেশে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দেশের বিল-বাঁওড় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান। দ্রুতই এর সমাধান হবে জানিয়ে তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলেন উপদেষ্টা।
স্থানীয় খামারি তরিকুল ইসলাম তুরকির সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাক্রিয়েল পিনেদাছ, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, তানজির আলম রবিন, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্য সচিব ওসমান আলী।