চট্টগ্রাম কলেজের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জিম্মি করে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে একই কলেজের মোশাররফ হোসেন মানিক (৩০) নামে এক পিয়নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় ওই পিয়নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ছাত্রীর পরিবার।
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, পিয়ন অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন। গত ২৭ জুন এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় মঙ্গলবার (৯ জুলাই)।
মোশাররফ হোসেন মানিক ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনার জন্য মাকে নিয়ে গত ২৭ জুন কলেজে যান ওই ছাত্রী। প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে কলেজের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার ওয়াশরুমের সামনে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে দেখেন পিয়ন মানিক। একসঙ্গে ওয়াশরুমে দেখে ফেলেছে এমন দাবি করে বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার এবং কলেজ প্রিন্সিপালসহ সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখায় মানিক। পরে প্রবেশপত্র সংগ্রহ শেষে মানিক ওই ছাত্রীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
মানিকের প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। পথে মানিক সিএনজি থেকে নামিয়ে কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডের একটি হোটেল রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারকে জানালে গত ২৯ জুন থানায় মামলা করে তার পরিবার।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পিয়ন মানিক এখানে অস্থায়ীভাবে কর্মরত আছে। বর্তমানে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এখানে কোন অপরাধকে আমরা প্রশ্রয় দেবো না।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার আসামি মোশাররফ হোসেনকে গত ৩০ জুন ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্তে আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। আসামিকে একদিনের রিমান্ডে এনে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে আবার আদালতে সোপর্দ করেছি।