সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা যে আন্দোলন করছেন তাতে বিএনপি ভর করেছে বলে মন্তব্যে করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার উত্তেজনা, রাস্তাঘাট বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি পরিহার করা উচিত। বিশেষত এইচএসসি পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের অসুবিধা হয় এমন যেকোনো কর্মসূচি পরিহার করা দরকার।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গে একথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগের কর্মসূচি পরিহার করা উচিত। শিক্ষকদের পেনশন ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে গতকাল (রবিবার) কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।’
‘২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সকল কোটা বিলুপ্ত করা হয়। সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে আপিল করে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। আদালতে বিচারাধীন, তা নিয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করা আইনসিদ্ধ নয়…আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে চূড়ান্ত রায় দেবেন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে। আমরা মনে করি, উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।’
শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে বিএনপি ভর করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, সবকিছু সময় বলে দেবে।’