ভারতের বিপক্ষে ১ম টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ম্যাচ ভেন্যু গোয়ালিয়রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। হুমকি দেয়া হিন্দু মহাসভার বড় সমর্থক গোষ্ঠি এই শহরের থাকায় রানওয়ে থেকে টিমবাসে ওঠানো হয়েছে শান্তদের। তবে সাধারণ মানুষের ভিড় ঠেলে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা স্বভাবিকভাবে এসেছে।
গোয়ালিয়র শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরের দৃষ্টি নন্দন বিমানবন্দরের নাম রাজমাতা ভিজয়ারাজি সিন্ধিয়া এয়ারপোর্ট। ডমেস্টিক এই এয়ারপোর্টে বুধবার সকাল থেকে নিরাপত্তা কর্মিদের আনাগোনায় মুখর। বাংলাদেশের ভারত সফর বাতিল করার মুল দাবিটা এসেছিলো এই শহর থেকে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটু বেশি কড়াকড়ি বাংলাদেশ দলের জন্য।
বাংলাদেশ দল বিমানবন্দরের সাধারণ কোনো গেট দিয়ে বের হয়নি। রানওয়ে থেকে টিমবাসের করে কড়া পাহারায় বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নাজমুল শান্তর দলকে। কানপুর থেকে পুরো টেস্ট স্কোয়াড প্রথমে গিয়েছে দিল্লিতে। সেখান ঢাকা আর কানপুর থেকে আসা টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা একত্রে এসে পৌছেছে গোয়ালিয়রে। তবে মুশফিক, সাদমান, তাইজুলসহ যারা কেবল টেস্ট স্কোয়াডের সদস্য তারা বৃহস্পতিবার ফিরবে ঢাকাতে।
বাংলাদেশ দলের গোয়ালিয়র সফর নিরাপত্তার বাড়াবাড়িটা থাকবেই। কারণ ম্যাচ পন্ড করার হুমকি দেয়া হিন্দু মহাসভা সংগঠনটি আবার ম্যাচের দিন বন্ধ বা হরতাল ডাকার হুমকি দিয়েছে।
ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা গোয়ালিয়র এসেছে কয়েক ধাপে। রবি বিষণই, রিংঙ্কু সিং, রিয়ান পরাগ, মায়াঙ্ক ইয়াদভের মতো তরুণরা এসেছেন সকালে। দুপুরে আসেন অধিনায়ক সুরিয়া কুমার ইয়াদভ ও হার্দিক পান্ডিয়া। আর যারা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই দলের আছেন তার এসেছে বাংলাদেশ দলের সাথে একই বিমানে।
সুরিয়া, হার্দিকদের সাথে একই বিমানে এসেছেন ধারাভাষ্য দিতে আসা তামিম ইকবালও। এখনও জনপ্রিয়তা কতটা খান সাহেবের তা বোঝা গেল বিমানবন্দরে। সেলফি প্রত্যাশিরা ভালোই ভুগিয়েছে তাদের।