চলতি মাসের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে মেয়াদি ঋণের কিস্তি ৫০ শতাংশ জমা দিলে সেই ঋণকে খেলাপি বলে গণ্য করা হবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুবিধা নেওয়া গ্রাহকদের কিস্তির বাকি অংশ বিদ্যমান ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আদায় করতে হবে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা চলমান থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। এতে অনেকেই কিস্তির পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এ ক্ষেত্রে কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপির খাতায় নাম উঠবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ১ এপ্রিল থেকে বিদ্যমান নিয়মিত মেয়াদি ঋণের বিপরীতে এপ্রিল-জুন সময়ের জন্য যে কিস্তি দিতে হবে তার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলেই গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। ঋণের বাকি অংশ মূল ঋণ পরিশোধের পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আদায় করতে হবে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে এসব ঋণ যথানিয়মে খেলাপি করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেসব গ্রাহক এই সুবিধা নেবেন, তাদের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোনোরূপ দণ্ডসুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না। ইসলামি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোও তাদের প্রদত্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একই ধরনের সুবিধা নিতে পারবে।
মূলত কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৯-১-চ ধারা অনুসারে গ্রাহকদের এ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।