লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ‘ফাতেহ-১১০’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে।
হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবাননের আল-মানার টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮.৫ মিটার দীর্ঘ ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। উচ্চ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার অধিকারী ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্দিষ্ট বা ভ্রাম্যমান প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কঠিন-জ্বালানিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৩,৪৫০ কেজি এবং এর পাল্লা ৩০০ কিলোমিটার। আল মানার টেলিভিশনে গতকাল ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেল আবিবের দক্ষিণে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে দখলদার সেনাবাহিনীর জারফিন ঘাঁটিতে হামলা করার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হাইফা, তেল আবিব এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরেও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে প্রথমে রকেট দিয়ে হামলা করা হয়।
এর আগে, গত ৩ নভেম্বর হিজবুল্লাহ ‘ইমাদ-৫’ নামে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ওই বাঙ্কারের ফুটেজে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে বিজয় অর্জন করা পর্যন্ত নিজ অবস্থানে অটল থাকবে হিজবুল্লাহ।
ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারটি হিজবুল্লাহর শহীদ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রকাশ করা হয় যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা কখনও যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করব না… আমরা কখনও আমাদের অস্ত্র সমর্পণ করব না।’
ফুটেজে দেখা যায়, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি জঙ্গল এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলে চড়ছেন, এরপর তারা একটি টানেলের ভেতর দিয়ে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারটিতে প্রবেশ করেন।
সূত্র : পার্সটুডে