ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ। রাজ্যের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিন প্রধান নদী বরাক, কোপিলি ও বরাকের শাখা কুশিয়ারার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপরে।
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গত শুক্রবার (৩১ মে) পর্যন্ত আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিলো সাড়ে তিন লাখ। সেখানে একদিন পরই, অর্থাৎ শনিবার তা ছাড়িয়ে গেছে ৬ লাখের গণ্ডি। জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এবং এর পরবর্তী বৃষ্টিতে আসামে বন্যা শুরু হয়। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে সেখানে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যেটির অন্তত ১০টি জেলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যটির নগাওঁ জেলা। শুধু সেখানেই বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিন-রাত উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। রাস্তাঘাট ভেঙে বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজ্যজুড়ে ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসামের পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন রাতে স্থানীয়দের চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে। রাজ্যের রাজধানী শহর গুয়াহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন।
প্রসঙ্গত, বন্যার এমন পরিস্থিতিতে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) রাজ্যটিতে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।