উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের সন্ধান এখনো মেলেনি। সাবমেরিনটি উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। এর মধ্যেই সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়া এলাকার পানির তলদেশ থেকে সাম্প্রতিক ঘণ্টাগুলোতে নতুন করে শব্দ শোনা গেছে। এ প্রেক্ষাপটে সাবমেরিনটিকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে একধরনের আশাবাদ তৈরি হয়েছে।
তবে মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনের সাবেক কমান্ডার ডেভিড মার্কুয়েট এ শব্দ নিয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ডেভিড মার্কুয়েট বলেছেন, তিনি মনে করেন না যে এই শব্দ টাইটানের। এই শব্দ প্রাকৃতিক হতে পারে।
মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনের সাবেক কমান্ডার বলেন, ‘আমরা শব্দ শুনতে পাচ্ছি, এরপর জাহাজ এলাকায় আসছে এবং তারপরে আমরা আরও শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আমার মনে হয় না, এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা।’
ডেভিড মার্কুয়েট বিশ্বাস করেন, সাবমেরিনের আরোহীদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কম। কিন্তু সেটি কিছুটা হলেও বেড়েছে। কারণ, টাইটানকে টেনে তুলতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ওই এলাকায় পৌঁছানোর পথে। তবে তার আগে সাবমেরিনটি খুঁজে পাওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে গত রোববার রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় সাবমেরিন ‘টাইটান’। যাত্রার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় ছোট সাবমেরিনটির সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
টাইটান সাবমেরিনটির মালিক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ওশানগেট। এক চালকসহ পাঁচ আরোহী নিয়ে যাত্রা করে সাবমেরিনটি। যাত্রাকালে সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত ছিল, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা সম্ভব।
সে অনুযায়ী, সাবমেরিনটির আরোহীদের আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ পাওয়ার কথা। সেই হিসাবে, আর বড়জোর কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে টাইটানে। এই সময় পেরিয়ে গেলে ভেতরে থাকা পর্যটকদের জীবিত উদ্ধারের আশা প্রায় শেষই হয়ে যাবে।