বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাইশারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় পরিস্থিতির উন্নতি হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে বর্ণিত বিদ্যালয়গুলোতে পুনরায় পাঠদান করাসহ বিদ্যালয় খোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে গত বছর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) লড়াই চলছে। মাঝে কিছুদিন উত্তেজনা কমে এলেও কয়েকদিন ধরে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে জান্তা সেনারা।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে রোববার দুপুর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ৯৫ জন জান্তা সেনা প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর। এমন অবস্থায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝেও উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।